শীতের রেসিপি: ছিটা রুটি
কেউ একে ‘ছিটা রুটি’ বলেন, তবে নোয়াখালী অঞ্চলে এটিকে ‘ছিটা পিঠা’ বলে। আবার কেউ ‘ছটকা রুটি’ও বলেন। ভুনা মাংস কিংবা মাংসের ঝোলের সঙ্গে সালাদসহ গরম গরম ছিটা রুটি অনেকেরই খুব প্রিয়। এছাড়া কেউ কেউ জ্বাল দেয়া খেজুরের রসে চুবিয়ে ছিটা রুটি খেতে পছন্দ করেন। নোয়াখালীতে খেজুরের রসে নারকেল দিয়ে এ পিঠা খাওয়া হয়।
উপকরণ:
- চালের গুড়া ২ কাপ (এতে ১২-১৫টি রুটি হতে পারে)
- পানি ৩ কাপ
- ১টা ডিমের অর্ধেকটা ফেটানো
- লবণ পরিমানমতো
- তেল পরিমানমতো
প্রণালী:
- বাটিতে পরিমাণমতো লবণ এবং ৩ কাপ পানি দিন। ভাল করে মেশান। লবণ-পানি মিশে গেলে ২ কাপ চালের গুড়া দিয়ে মিশিয়ে নিন ভাল করে। পাতলা মিশ্রণ তৈরি হবে।
- মিশ্রণটির সঙ্গে ১টি ডিমের অর্ধেকটা ভাল করে মিশিয়ে নিন। এই অবস্থায় মিশ্রণটি ১৫ মিনিট রেখে দিন।
- ১৫ মিনিট পর একটি কড়াইতে তেলের প্রলেপ দিয়ে মিশ্রণটির মধ্যে হাত চুবিয়ে কড়াইতে ছিটা দিন অর্থাৎ আঙ্গুলগুলো প্রলেপ দেয়া তেলের উপর ঝেড়ে নিন। এভাবে প্রতি রুটির জন্য ৩/৪ বার মিশ্রণটিতে হাত চুবিয়ে পরপর কড়াইতে ছিটা দিন। চুলার আঁচ কমানো থাকবে। রুটি যেন পুড়ে না যায় খেয়াল রাখবেন। রুটি হয়ে গেলে আলতো করে রুটির কোনায় খোঁচা দিয়ে তুলে নিন যেন ভেঙ্গে না যায়। এমনিতেই রুটি খুব পাতলা হবে তাই ভেঙ্গে গেলে ভাল দেখায় না।
- এভাবে প্রতিবারে তেলের হালকা প্রলেপ দিয়ে ৩/৪ বার ছিটা দিয়ে পাতলা করে রুটি তৈরি করুন। রুটিগুলো যেন গরম থাকে এমন কিছুতে তুলে রাখুন পরিবেশনের আগে পর্যন্ত।
- মিশ্রণটি জমে যাওয়ার মতো হলে আবার ভালভাবে মিশিয়ে নিন, প্রয়োজন হলে আরেকটু পানি (সামান্য) মিশিয়ে ভাল করে নেড়ে নিতে পারেন, তরল হয়ে উঠবে।
- ছিটা রুটি গরম গরম ভূনা মাংস বা মাংসের ঝোলের সঙ্গে পরিবেশন করুন। পছন্দ অনুযায়ী সালাদ থাকতে পারে। আর শীতের সকালে একটু ঘন করে জ্বাল দেয়া খেজুরের রসের সঙ্গে পরিবেশন করতে পারেন। এই রসে একটু নারকেল কুরানো দিতে পারেন।